শুক্রবার, আগস্ট ১

ইসলামী ডেস্ক :

ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত একটি কাজ মিথ্যা বলা, মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মিথ্যা পরিহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং (তোমরা) মিথ্যা কথা পরিহার করো।’ (সুরা: হজ, আয়াত: ৩০)

নবীজি (সা.) তাঁর উম্মতদের মিথ্যার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত বিশাল একটি হাদিসের একাংশে উল্লেখ আছে, … ‘সাবধান! তোমরা মিথ্যাচারিতা থেকে দূরে থেকো। কেননা মিথ্যাচারিতা দ্বারা না সফলতা অর্জন করা যায়, না অর্থহীন অপলাপ থেকে বাঁচা যায়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪৬)

প্রিয় নবী (সা.) এই অভ্যাসকে খুব বেশি ঘৃণা করতেন। কারো মধ্যে মিথ্যা বলার প্রবণতা থাকলে তিনি তাদের ভিন্ন চোখে দেখতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, মিথ্যা থেকে অধিক ঘৃণিত চরিত্র রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে আর কিছুই ছিল না। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সামনে কেউ মিথ্যা বললে তা অবিরত তাঁর মনে থাকত, যে পর্যন্ত না তিনি জানতেন যে মিথ্যাবাদী তাঁর মিথ্যা কথন থেকে তাওবা করেছে। (তিরমিজি, হাদিস: ১৯৭৩)

মিথ্যা এমন এক অভ্যাস, যা কখনোই কল্যাণ বয়ে আনে না। বরং তা মানুষকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যায়। মানুষের দুনিয়া-আখিরাত দুটোই শেষ করে দেয়।

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা অবশ্যই সত্যের পথ অবলম্বন করবে। কেননা সততাই মানুষকে কল্যাণের পথে নিয়ে যায়। আর কল্যাণ জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়। কোনো মানুষ প্রতিনিয়ত সত্য কথা বলতে থাকলে এবং সত্যের প্রতি মনোযোগী থাকলে শেষ পর্যন্ত সে আল্লাহ তাআলার দরবারে পরম সত্যবাদী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়।

তোমরা মিথ্যাকে অবশ্যই পরিহার করবে। কেননা মিথ্যা (মানুষকে) পাপের পথ দেখায়, আর পাপ জাহান্নামের পথে নিয়ে যায়। কোনো বান্দা প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলতে থাকলে এবং মিথ্যার প্রতি ঝুঁকে থাকলে শেষ পর্যন্ত সে আল্লাহ তাআলার দরবারে চরম মিথ্যাবাদী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। (তিরমিজি, হাদিস: ১৯৭১)

মহান আল্লাহ সবাইকে এই ঘৃণিত অভ্যাস ত্যাগ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version