স্বাস্থ্য ডেস্ক :

আইসিডিডিআরবি তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনজন। কিন্তু মে মাসের শেষ সপ্তাহে এতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫-এ। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারাও যান।

আইসিডিডিআরবির এক চিকিৎসক জানান, আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় সবাই নতুন একটি ধরন এক্সএফজিতে আক্রান্ত।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৪৩ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই বিদেশগামী যাত্রী। তবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সবাইকে। মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে ওঠায় টিকা দেওয়ার বিষয়টি সরকারও ভাবছে।

গত ২২ এপ্রিল ইপিআইয়ের এক সভায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষের মধ্যে টিকা গ্রহণের আগ্রহ কম।

শুক্রবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, কোভিড–১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকলকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

২০২২ সাল থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করে। পরের বছর থেকে করোনা রোগী শনাক্তের হার নেমে আসে প্রায় শূন্যের কোঠায়। ফলে মাস্ক পড়ার যে বিধি নিষেধ তাও সে সময় তুলে নেওয়া হয়। এ বছর নতুন করে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে অতিসংক্রমণশীল এই ভাইরাস।

সম্প্রতি রাজশাহীতে কয়েকজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনে জেলাটিতে ২৬টি নমুনার ১৩টিতেই করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। এ হিসেবে আক্রান্তের হার ৫০ শতাংশ।
Share.
Leave A Reply

Exit mobile version