শুক্রবার, আগস্ট ১

ভারতের ৬ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম কেনাবেচায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বা মার্কিন নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণাধীন যেকোনো স্থানে এসব কোম্পানির সম্পদ ও স্বার্থ ‘ব্লক’ বা জব্দ থাকবে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনাবেচায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দাবি, এসব লেনদেন মার্কিন নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬ অনুযায়ী নিষিদ্ধ। কারণ ইরান সরকার এই আয়ের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত উসকে দিচ্ছে, সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগাচ্ছে এবং নিজ দেশের জনগণকে দমন করছে।

স্থানীয় সময় বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, “ইরানি শাসকগোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা উসকে দিতে তাদের তেল বিক্রি থেকে উপার্জিত রাজস্ব ব্যবহার করছে। আজকের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা সেই অর্থপ্রবাহ বন্ধের চেষ্টা করছি, যা তারা বিদেশে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং দেশের জনগণের ওপর দমন-পীড়নে ব্যবহার করে।”

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিশ্বের আরও ২০টি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারতের ছয়টি কোম্পানির নাম এসেছে। নিষেধাজ্ঞায় থাকা ছয় ভারতীয় কোম্পানি হচ্ছে— অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেড, জুপিটার ডাই কেম প্রাইভেট লিমিটেড, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পারসিস্টেন্ট পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড এবং কাঞ্চন পলিমার।

সবগুলো প্রতিষ্ঠানই নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬-এর ধারা ৩(এ)(৩)-এর অধীনে “ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের উল্লেখযোগ্য লেনদেনে সচেতনভাবে জড়িত থাকার” কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পরিণতি কী?

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বা মার্কিন নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণাধীন যেকোনো স্থানে এসব কোম্পানির সম্পদ ও স্বার্থ ‘ব্লক’ বা জব্দ থাকবে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারে এসব নিষিদ্ধ কোম্পানির মালিকানায় রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

সবগুলো প্রতিষ্ঠানই নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬-এর ধারা ৩(এ)(৩)-এর অধীনে “ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের উল্লেখযোগ্য লেনদেনে সচেতনভাবে জড়িত থাকার” কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর আরও জানিয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা দেশের ভেতর দিয়ে (বা হয়ে) এসব নিষিদ্ধ কোম্পানির সম্পদ বা স্বার্থসম্পন্ন যেকোনো লেনদেন নিষিদ্ধ। এছাড়া এদেরকে অর্থ, পণ্য বা সেবা দেওয়াও নিষিদ্ধ, আবার এসব কোম্পানির পক্ষ থেকে সেসব গ্রহণ করাও নিষিদ্ধ।”

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version