গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, গত পরশু রাতে পটুয়াখালীর গলাচিপার পাতাবুনিয়া বটতলা বাজার এলাকায় নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিএনপি নেতা হাসান মামুনের নেতাকর্মীরা। ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও দলটি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নুরুল হক নুরের সঙ্গে বিএনপির এই আচরণ মিত্রদের জন্য সংকেত।
শনিবার (১৪ জুন) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে ঘটে যাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মশাল মিছিল করে গণঅধিকার পরিষদ গুলশান জোন। সেখানে উপস্থিত হয়ে আবু হানিফ এসব কথা বলেন।
আবু হানিফ আরও বলেন, ওই রাতে গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলায় গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন ইউনিয়নের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। গণঅধিকার পরিষদ বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল। সেই হিসেবে বিএনপির মিত্র গণঅধিকার পরিষদ। মিত্র দলের শীর্ষ নেতাকে অবরুদ্ধ করে রাখা সেই দলের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করার পরও বিএনপি এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। নুরুল হক নুরের সঙ্গে বিএনপির এই আচরণ মিত্রদের জন্য সংকেত। ভবিষ্যতে বিএনপি মিত্রদের সাথে কেমন আচরণ করতে পারে এটা তার নমুনা।
‘পটুয়াখালীর এই ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে ডিসিকে অবহিত করার পর ডিসি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং ডিসি বিএনপির কর্মীর মতো আচরণ করেছে। এই ডিসি সরকারি সব অনুদান বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভাগবাটোয়ারা করে খায় বলে অভিযোগ রয়েছে। অনতিবিলম্বে পটুয়াখালীর ডিসিকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে প্রশাসন আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছে। এখন আবার সেই প্রশাসনের বড় একটা অংশ বিএনপির হয়ে কাজ করছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে বিএনপির প্রতি প্রশাসনের সমর্থন আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই প্রশাসন দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল, এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। আগে প্রশাসন যেভাবে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করত এখন সেই প্রশাসন আবার বিএনপির হয়ে কাজ করছে।
গণঅধিকার পরিষদ বাড্ডা থানার সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি আবির ইসলাম সবুজের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের সহ সভাপতি আবু হানিফ হৃদয়, আরিফুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ জিলু খান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি শাকিল আহমেদ তিয়াস, মহানগর উত্তরের গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, যুব অধিকার অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠু প্রমুখ।