অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছিলেন এ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
শিবির নেতা ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা সাদিক কায়েমসহ নানা ইস্যুতে এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর দিনভর আলোচনা সমালোচনার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঠিক তখনই সবকিছু পাশে রেখেই যেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামায়াতে ইসলামীর আমিরকে স্ব শরীরে দেখতে গেলেন নাহিদ ইসলাম।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব আরিফুল ইসলাম আদীব আজ বৃহস্পতিবার(৩১ জুলাই) বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি জামায়াত আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহমর্মিতা জানিয়েছেন। তারা জামায়াত আমিরেন সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেছেন। জামায়াত আমিরের ভেরিফায়েড ফেসবুকের এডমিন পোস্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
একইদিন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ সৈয়দ রেজাউল করিম, খেলাফত মজলিসের সম্মানিত মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের, ইউ এস এর বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডা. মনজুর মোর্শেদ, ডা. ফয়সাল, বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফয়েজ আহমদ চৌধুরি, খেলাফত আন্দোলনের আমির জনাব মাওলানা আবু জাফর কাসেমী এবং মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলামসহ অনেক বন্ধু, সুধী-শুভাকাঙ্ক্ষী সম্মানিত আমীরে জামায়াতের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন। জামায়াত আমিরের সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন বলে পৃথক পোস্টে জানানো হয়েছে। এছাড়াও দেশবিদেশের অনেকেই আমীরে জামায়াতের অসুস্থতা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন।
বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস ফোন করে জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার সামগ্রিক খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি জামায়াতের আশু রোগমুক্তি কামনা করেছেন নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।