ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ২১ ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ভোর থেকে ভূখণ্ডজুড়ে চলা ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করেছে। ইসরায়েলি হামলার শিকার এই অবকাঠামোগুলোর মধ্যে রাজধানী সানার কাছে অবস্থিত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং হোদেইদাহ ও রাস ইসার বন্দরও রয়েছে।
এদিকে লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বেশ কিছু লোক নিহত হয়েছেন এবং ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী পরে বলেছে, তারা এখনও লেবাননের সাথে “যুদ্ধবিরতি মেনে চলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) গাজার হাসপাতালের জেনারেটরের জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় রোগীদের জন্য সম্ভাব্য “বিপর্যয়কর পরিস্থিতি” সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
অন্যদিকে শুক্রবার ভোর থেকে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে মেডিকেল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিরলস এই হামলায় আরও লক্ষাধিক লোক আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।