‘আমরা এখনো শিখছি’—একেকটা ম্যাচ হারার পর বাংলাদেশের কোচ বা অধিনায়ককে এ কথাই বলতে শোনা যায়। এ কথা শুনতে শুনতে ‘ক্লান্ত’ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে—বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শেখার পর্ব শেষ হবে কবে?
ভারতে টি–টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটি সাংবাদিকেরা করেছিল বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ নিক পোথাসকে। শেখার পর্ব শেষ করে কবে মাঠে পারফর্ম করতে শুরু করবে বাংলাদেশ—এমন প্রশ্নের উত্তরে পোথাস অবশ্য নির্দিষ্ট করে কোনো উত্তর দেননি।
পোথাস সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নকর্তাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘এখানে আপনি মনে হয় দুইটা প্রশ্ন একসঙ্গে করে ফেলেছেন। আপনি চাইলে বিশ্বের সেরা কারও সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন। তারা আপনাকে বলবে যে প্রতিদিনই শেখার দিন। যখন আপনি শেখা বন্ধ করে দেবেন, তখনই সমস্যা শুরু হবে। ফলে এটা কোনো সমস্যা নয় আমাদের। এমনকি ভারতের সূর্যকুমার যাদবও ম্যাচ শেষে বলেছিল—সে অনেক কিছু শিখেছে, কীভাবে বোলারদের ব্যবহার করতে হয়। সব সময় আপনাকে শিখতে হবে।’
ভারত সিরিজে দুই টেস্টেই হারার পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরেছে। টি-টোয়েন্টিতে যেভাবে নাজমুল হোসেনের দল হেরেছে, তা অনেকটাই দৃষ্টিকটু। গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ হেরেছিল ৭ উইকেটে, আর দিল্লিতে ৮৬ রানে।
পোথাস অবশ্য দলের সুখের সময়ের কথা তুলে ধরছেন। ভারত সিরিজের আগে পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হারানোর কথা বলেছেন পোথাস। সেই অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ‘পারফরম্যান্সের কথা যদি বলেন, আমার মনে হয় আমরা দ্রুত ভুলে যাচ্ছি। পাকিস্তান থেকে মাত্রই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে আসলাম, যেটা আগে আমরা কখনোই করে দেখাতে পারিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সুপার এইটে খেলেছে, যেটা আগে ঘটেনি কখনো।
পোথাস এরপর যোগ করেন, ‘নিউজিল্যান্ড সফর থেকে আমরা একটি করে ম্যাচ জিতে এসেছি, যেটাও আগে কখনো ঘটেনি। গতকাল আর আজ কী ঘটেছে, তা দেখার ব্যাপারে আমরা অনেক পারদর্শী। কিন্তু গত ১২ মাসে কী ঘটেছে, তা মনে করতে পারছি না। গত ১২ মাসে অনেক উন্নতি হয়েছে। ফলে সেটা মেনে নিন এবং কৃতিত্ব দিন।’