অনলাইন ডেস্ক
ভারতে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে গিয়ে ৫ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী মেট্রো স্টেশনের কাছ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (০৯ এপ্রিল) জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তাররা প্রত্যেকে রূপান্তরকামী। তারা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে সেখানে অবস্থান করছিলেন। তাদের সকলের দিল্লিতে হরমোনাল ট্রিটমেন্ট চলছিল। এমনকি কিছুদিনের মধ্যে তাদের লিঙ্গ পরিবর্তনের সার্জারিও হওয়ার কথা ছিল।
গ্রেপ্তাররা হলেন শেরপুরের বাসিন্দা মোহাম্মাদ শাকিদুল, মোহাম্মাদ শাকিদুল মোহাম্মাদ দুলাল আখতার ওরফে হাজরা বিবি, ঢাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম ওরফে মোনিকা, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মোহাম্মদ মাহির ওরফে মাহি এবং দিনাজপুরের বাসিন্দা সাদ্দাম হুসেন ওরফে রুবিনা। তাদের প্রত্যেকেই হরমোনাল থেরাপি চলছিল। লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রাথমিক সার্জারিও শুরু হয়েছিল।
পুলিশ আরও জানায়, দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী মেট্রো স্টেশনের কাছে ট্র্যাফিক সিগনালে তারা ভিক্ষা করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি স্পেশাল টিম ওই অঞ্চলে কয়েকদিন ধরে তাদের ওপর নজর রাখে। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছে পাসপোর্ট, ভিসা কিছুই পাওয়া যায়নি। দালালদের মাধ্যমে তারা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত পার হয়েছেন। এরপর তারা দিল্লি এসেছেন। সেখানে তারা লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।
পুলিশের দাবি, পরিচয় গোপনের জন্য তারা লিঙ্গ পরিবর্তনের কথা ভাবছিলেন। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ভারতে নিষিদ্ধ আইএমও অ্যাপের মাধ্যমে তারা যোগাযোগ করতেন। এছাড়া আরও বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা হলেন, মোহাম্মাদ শাকিদুল, তিনি শেরপুরের বাসিন্দা ; মোহাম্মাদ দুলাল আখতার ওরফে হাজরা বিবি, তিনি জামালপুরের বাসিন্দা; মহম্মদ আমিরুল ইসলাম ওরফে মোনিকা, তিনি ঢাকার বাসিন্দা ; মহম্মদ মাহির ওরফে মাহি, তিনি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা এবং সাদ্দাম হুসেন ওরফে রুবিনা, তিনি দিনাজপুরের বাসিন্দা। প্রত্যেকেই হরমোনাল থেরাপি করাচ্ছিলেন। লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রাথমিক সার্জারিও শুরু হয়েছিল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, গ্রেপ্তার প্রত্যেকের কাছে জাল পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। ভারতের কিছু চক্র তাদের পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য কাজ করতেন।
এর আগে গত মার্চে দিল্লিতে অভিযান চালিয়ে এমন চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, দিল্লির এই চক্র অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশ করানো থেকে শুরু করে তাদের হাতে জাল পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত কাজ করে। তাদের থাকার ব্যবস্থাও করে দেয় তারা। বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে এই কাজ করা হয়।