ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ভোটের আগে ও পরে মোট আট দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব এসেছে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি বৈঠকে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটের মাঠে মূলত পাঁচ দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী রাখি। সেখানে এবার ৮ দিন রাখার প্রস্তাব এসেছে।

নির্বাচনের আগে তিন দিন, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচন পরবর্তী চার দিন। এটা আমরা পরীক্ষা করে দেখব।’
ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় সাধারণ নাগরিকদের ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে।

ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণে বডি-ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এআই প্রযুক্তি ও সাইবার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। এ ছাড়া নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য ও ৫ থেকে ৬ লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।’

ইসি সচিব আরো বলেন, ‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মাঠে কাজ করবে। তবে আরপিও সংশোধনের পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত হবে।’

এসময় পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমের বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আইজিপি জানিয়েছেন এক লাখ পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচনের মাঠে কাজ করবেন। সবচাইতে বড় বাহিনীটা আসবে আনসার-ভিডিপি থেকে। হোম সেক্রেটারি বলেছেন যে বডি ওর্ন ক্যামেরা থাকবে, ড্রোনের ব্যবস্থা থাকবে।

কাজেই আমাদের ভিজিলেন্স অনেক বেশিই হবে।’
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমরা আজকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের সংখ্যাগত হিসাব ও নির্বাচনী এলাকার বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সমন্বয়, অবৈধ অস্ত্রের রোধ নিয়ন্ত্রণ, বৈধ অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ও এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ নিয়ে আলোচনা হয়।’

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version