সম্প্রতি চট্টগ্রামে বন্দরে তেলবাহী দু’টি জাহাজে আগুন লাগার পর দুশ্চিন্তায় পড়ে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)। তবে দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরার সহায়তায় ওই জাহাজ থেকে তেল অপসারণের ফলে স্বস্তি ফিরেছে বন্দরে। এতে একদিকে যেমন ঝুঁকি কমেছে, তেমনি তেল সংকট নিরসনের আশাও করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার গভীর রাত পৌনে একটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরের চার্লি অ্যাংকরেজের কাছে নোঙ্গর করা রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বাংলার সৌরভে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, ক্রুড তেলবাহী জাহাজটির সামনের দিকে আগুন লাগে। আগুনের ভয়াবহতা বেশি হওয়ার অনেক চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
এমভি বাংলার সৌরভে ১১ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়ে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। এসব তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়লে বড় ধরনেরও দুর্ঘটনার শঙ্কাও তৈরি হয়। এমন সময় এগিয়ে আসে দেশের বৃহৎ একটি শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা। বসুন্ধরা গ্রুপের তিনটি বড় ট্যাংকারের সহায়তায় তেল অপসারণ করা হচ্ছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা মুক্ত হচ্ছে বহির্নোঙ্গর। ইতোমধ্যে বেশিভাগ তেল নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, আমার দরকার ছিল চার পাঁচ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্যাংকার। আমরা ইতোমধ্যে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে দুইটা ট্রিপ দিয়েছি। আরেকটা ট্রিপের তেল এখন লোড হচ্ছে, এটা শেষ হলে সৌরভ কার্গোটি সম্পন্ন ফ্রি হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দ্রুততম সময়ে আমরা দেশীয় একটা কোম্পানির কাছে দুইটা ভ্যাসেল নিয়েছি। আগুন লাগা সৌরভের পাশে ভ্যাসেল নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে চারভাগের তিন ভাগ তেল খালাস করে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পৌঁছে দিয়েছি।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের আরও এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের চালিকাশক্তি পেট্রোলিয়াম কার্গো রক্ষা করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ সবার আগে এগিয়ে এসেছে।