বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বলেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হলে সংকট বাড়বে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনায় বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে ‘সংস্কার ও নির্বাচন : প্রেক্ষিত জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী যে দেশগুলো দ্রুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পেরেছে, সেগুলোর অবস্থান ভালো। অন্যদিকে যারা তর্ক-বিতর্ক ও বিভিন্ন ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন বিলম্বিত করেছে, সেসব দেশে গৃহযুদ্ধ, সামাজিক বিভক্তি এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটেছে।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ১৪ মাস পরও আমরা তর্ক-বিতর্ক করছি। অথচ আমাদের পাশের নেপালেই উদাহরণ আছে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার। আজ ১৪ মাসে বাংলাদেশ আবারও প্রতিনিধিত্বহীন দেশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। এই ধারার পরিবর্তনে দেশের মানুষ নির্বাচিত সরকার চায়, প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ চায়। সে সরকারের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি থাকবে, যোগ করেন তিনি।

জাতীয় ঐক্য ও সংস্কারের বিষয়ে জোর দিয়ে খসরু প্রশ্ন তোলেন, যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে। তার ভিত্তিতে ক্লোজ দ্য চ্যাপ্টার। এখানে পিআর নিয়ে এত আলোচনা কেন? জাতিকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত-বিভক্ত করছি কেন?

তিনি বলেন, সহজ পথ হলো, যেটা আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে ৩১ দফা করেছি। আমাদের বিষয়টি আমরা পরিষ্কার করে জনগণের কাছে নিয়ে গেছি এবং ৩১ দফা নিয়ে আমরা জনগণের কাছে আবারও যাব। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে যে এক্সারসাইজ চলছে, তার মাধ্যমে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি হচ্ছে কি না, তা আমাদের বিবেচনা করতে হবে। আমরা কি প্রতিনিয়ত জাতিকে বিভ্রান্ত করছি? আমরা কি কোনো কারণ ছাড়াই জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version