জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে এক বৈঠকে তিনি ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অবনতির জন্য নয়াদিল্লিকে দায়ী করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “গত বছরের গণবিপ্লব ভারত ভালোভাবে নেয়নি। সেখান থেকেই সমস্যা শুরু। ভারত মনে করেছে, এটি ইসলামপন্থীদের আন্দোলন ছিল—যা পুরোপুরি ভুয়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রোপাগান্ডা।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ভারতীয় মিডিয়া থেকে একের পর এক ভুয়া খবর ছড়ানো হয়েছে। এসবের কারণে শুধু জনমত বিভ্রান্ত হয়নি, বরং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও চাপ পড়েছে।”
বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ টেনে ড. ইউনূস বলেন, “যিনি সংকট সৃষ্টি করেছেন, তাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। এটা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।”
এসময় আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য দীর্ঘদিন অচল থাকা সার্ক জোটকে পুনর্জীবিত করার ওপর জোর দেন ইউনূস। তিনি বলেন, “সার্ক কাজ করছে না কারণ এটি একটি দেশের রাজনীতির সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না। সেই একটি দেশ সার্ককে কার্যকর হতে দিচ্ছে না।”
একইসঙ্গে তিনি আসিয়ানে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে আগ্রহ দেখান।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ সার্ক সম্মেলন হয়েছিল ২০১৪ সালে। ২০১৬ সালের সম্মেলনটি পাকিস্তানে হওয়ার কথা থাকলেও ভারতের বর্জনের কারণে তা বাতিল হয় এবং সার্ক কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এর পরিবর্তে ভারত বর্তমানে বিমসটেক জোটকে গুরুত্ব দিচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ অন্যতম সদস্য।
যদিও সাম্প্রতিক বিমসটেক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একটি সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, তবে উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অব্যাহত উত্তেজনা থেকেই যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি