নড়াইল প্রতিনিধি :
২০২৫ সালের বোরো মৌসুমে নড়াইল জেলায় বাম্পার ফলন হলেও এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাত কৃষকদের জন্য নতুন দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে। মাঠে কেটে রাখা ধান ভিজে গেছে, আর অনেক ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়ায় ফলনের গুণগত মান ও বাজারদর দুটোই কমেছে।
নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলায় মোট ৫০,২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলায় ২৩,২৫৫ হেক্টর, কালিয়ায় ১৬,৫২০ হেক্টর এবং লোহাগড়ায় ১০,২৫০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এই আবাদ থেকে প্রায় ২,২০,৭৩০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলার কৃষক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, “এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে কেটে রাখা ধান ভিজে গেছে। এখন সেই ধান শুকাতে পারছি না, ফলে চালের মান খারাপ হচ্ছে।”
কালিয়া উপজেলার কৃষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “ধান কাটার সময় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যারা আছে, তারা বেশি মজুরি চাচ্ছে। আবার বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে পারছি না।”
কৃষকদের পাশাপাশি স্থানীয় কৃষি বিভাগও এই পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছে। নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, “আমরা কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার এবং ভেজা ধান শুকানোর পরামর্শ দিচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
বর্তমানে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট ও পরিবেশগত বাধা কৃষকদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে।
নড়াইল জেলায় বোরো ধানের ভালো ফলন হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। দ্রুত সরকারি সহায়তা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ছাড়া এই সংকট উত্তরণ কঠিন হয়ে