সময় সমাচার ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় তাকে দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সহায়তা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাজধানীর গুলশানে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের একটি ফ্ল্যাট ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে সংস্থার উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় টিউলিপ ছাড়াও রাজউকের সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান এবং সরদার মোশারফ হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশ করে কোনো অর্থ পরিশোধ না করেই গুলশান-২ এলাকার একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট দখলে নেন। পরবর্তীতে এই ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রির মাধ্যমে নিজেদের নামে খতিয়ানভুক্ত করেন। ঘটনাটি ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতিমূলক আচরণ ও বিশ্বাস ভঙ্গের শামিল।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(বি), ৪০৯, ১৬১-১৬৫(ক), ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্তের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা, এসএম রাশেদুল হাসান, একেএম মর্তুজা আলী সাগর, মো. মনিরুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এর আগে, গত ১০ মার্চ পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যসহ সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক আটটি অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। আদালত ইতোমধ্যে এসব মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version