জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন ডকুমেন্টারি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন নিজেদের অভিজ্ঞতা ও প্রতিরোধ-ইতিহাস তুলে ধরতে সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীতে সাইমুম শিল্পী-গোষ্ঠী আয়োজিত ‘৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট’-এর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আমরা অনেক সুন্দর ডকুমেন্টারি তৈরি করেছি। ১৯৭১ সালের গণহত্যার সময় ‘স্টপ জেনোসাইড’-এর মতো দু-একটা কাজ হয়েছিল, আর এখন জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে প্রতিদিনই কিছু না কিছু তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিভার্সিটি কীভাবে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে, কোথায় গণজোয়ার উঠেছে—সবই আসছে ডকুমেন্টারির মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীরা নিজেরা এ কাজ করছেন। তারা দেখাচ্ছেন কীভাবে ছাত্রলীগকে প্রতিহত করেছে, কীভাবে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। এটা একপ্রকার গণ-স্মৃতিচর্চা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

আলোচনার এক পর্যায়ে প্রেস সচিব বলেন, এই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ভেতর দিয়ে আমরা বুঝতে পারছি—আওয়ামী লীগের কালচারাল হেজিমোনিকে কীভাবে চিরতরে চ্যালেঞ্জ করা যায়। জুলাই অভ্যুত্থান শুধু রাজপথ নয়, সংস্কৃতি, মিডিয়া, এবং ইতিহাসের বইয়েও একটি স্থায়ী জায়গা করে নিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর এই ‘৩৬ জুলাই কালচারাল ফেস্ট’ ছিল মূলত সাংস্কৃতিক জাগরণের একটি দৃষ্টান্তমূলক প্রয়াস। আয়োজকরা জানান, জুলাই অভ্যুত্থান কেবল একটি রাজনৈতিক মোড় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক রেনেসাঁ। গান, নাটক, প্রামাণ্যচিত্র, আর্ট ইনস্টলেশন, এবং কবিতার আবৃত্তিতে তারা তুলে ধরেছেন একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন, যেখানে স্বৈরাচার ও সাংস্কৃতিক দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে দৃপ্ত প্রতিরোধ স্পষ্ট।

 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version