স্বাস্থ্য ডেস্ক :
এক্সবিবি’র বৈশিষ্ট্য
এটি উচ্চমাত্রায় সংক্রামক। এর ইমিউন এস্কেপ ক্ষমতা রয়েছে, অর্থাৎ এটি প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন বা টিকা-প্রাপ্ত ব্যক্তির প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও কিছুটা ফাঁকি দিতে পারে। তবে, এখন পর্যন্ত এর প্রভাবে মারাত্মক অসুস্থতা বা মৃত্যুহার বেশি হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হালনাগাদ বুস্টার ডোজ, বিশেষ করে এক্সবিবি-ভিত্তিক ভ্যাকসিন, এই ধরন থেকে গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে কার্যকর। যদিও সংক্রমণ পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব না, তবে টিকা গুরুতর জটিলতা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক্সবিবি ও এর উপধরনগুলোকে Variant of Interest বা Variant Under Monitoring হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মানে হলো, এগুলোর ওপর বৈজ্ঞানিক নজরদারি চলছে এবং এগুলো ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
গ্লোবাল ভাইরাস নেটওয়ার্ক (জিভিএন) জানিয়েছে, এই ধরনটিতে সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ানোর মতো কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সংস্থাটি সতর্ক থাকতে বলেছে এবং টিকা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।
কি করতে হবে সাধারণ মানুষের?
টিকা সংক্রান্ত পরামর্শ
জিভিএনের মতে, পুরোপুরি প্রতিকার যেহেতু নেই তাই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপই এখনো গুরুত্বপূর্ণ। তাদের টিকা সংক্রান্ত সুপারিশগুলো হলো—
৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য হালনাগাদ বুস্টার ডোজ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ৬ মাস বয়স থেকে সব বয়সীদের টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা উচিত। শিশু ও কিশোরদের বছরে অন্তত একবার আপডেটেড টিকা দেওয়া জরুরি, কারণ আগের টিকার সুরক্ষা সময়ের সঙ্গে হ্রাস পায়। গর্ভবতী নারীদের জন্য টিকা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি শিশুদের জন্মের পর প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় সংক্রমণ হলে জন্মের আগেই শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং শিশুদের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি এখনো আশঙ্কাজনক নয়, তবে দেশে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন এক্সএফজি শনাক্তের কথা বলছেন। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। এই দুটোই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।