বাংলাদেশ ফুটবল দল লিখল নতুন ইতিহাস। মঙ্গলবার ঐতিহাসিক জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২২ বছর পর প্রথম জয়ের স্বাদ পেল হামজা–জামাল ভূঁইয়ারা।

প্রথমার্ধে হওয়া একমাত্র গোলই শেষ পর্যন্ত এনে দেয় বহু প্রতীক্ষিত এই জয়। তবে হামজা চৌধুরীর কাছে এই জয় শুধুই তিন পয়েন্ট নয়—এটি তার ক্যারিয়ারের এক স্মরণীয় মাইলফলক এবং আজীবনের স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত।

ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত হামজা বলেন,“নিশ্চিতভাবেই, এটি আমার স্বপ্নপূরণ। মানুষের একাধিক স্বপ্ন থাকতে পারে, আর এটি ছিল আমার একটি স্বপ্ন। ইনশাআল্লাহ, খুব শিগগিরই আমরা কোনো বড় টুর্নামেন্টের জন্য যোগ্যতা অর্জন করব।”

তিনি আরও বলেন,“আজ আমরা ১৮ কোটি মানুষকে খুশি করেছি। এর সঙ্গে অন্য কিছু তুলনা হয় না। তাই এই জয় আমার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি।”

দলের ক্যাম্পে দেরিতে যোগ দিলেও সতীর্থ ও কোচিং স্টাফদের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন তিনি। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পরিবার থেকে দূরে থেকে অনেকেই ৫০০ ঘণ্টার বেশি সময় অনুশীলন করেছেন বলে জানান হামজা।

তার ভাষায়,“তারা দেশের জন্য নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।”

নিজে দেরিতে দলে যোগ দিলেও তিনি মনে করেন, তিনি এবং নবাগত শমিত শোমে দলে কিছুটা মান ও মানসিকতার জোগান দিতে পেরেছেন। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে ভালো খেলেও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পিছিয়ে পড়ছিল—কিন্তু এবার পরিস্থিতি ছিল ঠিক উল্টো।

হামজা বলেন, “হয়তো আমরা বল দখলে খুব ভালো ছিলাম না, কিন্তু দেখিয়েছি আমরা কতটা লড়াকু। এখন সময় বল দখল আর লড়াই—দুই দিকই একসাথে তুলে ধরার।”

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version