অগ্নিকাণ্ডে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর আমদানি ও রপ্তানির পণ্য রাখার নতুন স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিমানবন্দরের জিএসই মেইনটেন্যান্স নামক স্থানে পণ্য রাখার জন্য নতুন স্থান নির্ধারণ করেছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে ওই স্থানেই পণ্যের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করছে। সেখানেই ৯ নম্বর গেটে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের সংযোগ স্থাপন করে পণ্যের খালাস প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আপাত ভিত্তিতে জিএসই মেইনটেন্যান্স নামক স্থানে পণ্য রাখার জন্য স্থান নির্ধারণ করেছেন। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত স্থানে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করছেন, ৯ নম্বর গেটে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের সংযোগ স্থাপন করেছেন এবং উক্ত গেইট দিয়ে পণ্যের খালাস প্রক্রিয়া সম্পাদন করছেন।
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে শনিবার দুপুর সোয়া ২টায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট। একইসঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন নৌ-বাহিনী, বিমানবাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন, দুই প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ-আনসারের সদস্যরা। রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই স্থানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়। আগুনে সেখানকার প্রায় সব মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
গত ১৮ অক্টোবর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- এনবিআরের প্রথম সচিব মু. রইচ উদ্দিন খান, মো. তারেক হাসান, ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান, কাস্টম হাউস এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পঙ্কজ বড়ুয়া। অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্ট সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কমিটিকে দ্রুততম সময়ে অগ্নিকাণ্ডে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


