সময় সমাচার ডেস্ক :
রাজনীতিকে জনগণের কল্যাণে নিবেদিত একটি দায়িত্বশীল অঙ্গনে রূপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, “রাজনীতিতে কোনো ধরনের পেশিশক্তির ব্যবহার থাকবে না। রাজনীতি হবে জনমানুষের, দায়িত্বশীলতার ও দায়বদ্ধতার। যারা জনগণের দায়বদ্ধতা অনুভব করবেন, আমরা তাদের জন্য রাজনীতিকে সহজ ও গ্রহণযোগ্য করে তুলবো।”
সোমবার দুপুরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মোফাজ্জল হোসেন সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ‘সম্প্রীতি ও ঐক্যের সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন—আমসা। এতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
আখতার হোসেন আরও বলেন, “যারা জনগণের উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে চায়, আমরা তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবো।”
সমাবেশে মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির এটিএম আজম খান বলেন, “রাজনৈতিক মঞ্চে অনেক নেতার কথার ফুলঝুরি শুনেছি। তিন তিনটি মেয়াদে তথাকথিত উন্নয়নের নামে আমাদের শোষণ করা হয়েছে। বৈষম্যের যাতাকলে আমরা নিষ্পেষিত হয়েছি। এখন সময় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। ঐক্য মানেই শক্তি, উন্নয়ন, ভারসাম্য ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনের পথ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হলে ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
এদিকে, রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা বলেন, “দলমত নির্বিশেষে আপনাদের যেকোনো সমস্যা, সুখ-দুঃখ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আমরা রাজনৈতিক নেতারা এক হয়ে সেসব সমস্যার সমাধান করবো।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা তিস্তা মহাপরিকল্পনার স্বপ্ন দেখি। এটি বাস্তবায়িত হলে কাউনিয়া ও পীরগাছা অঞ্চল পরিণত হবে একটি স্যাটেলাইট শহরে। তিস্তার পানি ও বিদ্যুৎ কাজে লাগিয়ে কলকারখানা গড়ে উঠবে, বেকারত্ব দূর হবে। এজন্য আগামী নির্বাচনে সৎ, যোগ্য ও জনগণের পাশে থাকা নেতাদেরই বেছে নিতে হবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আমসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. মিজানুর রহমান। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নিয়ে সম্প্রীতি ও ঐক্যের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং সকল ভেদাভেদ ভুলে একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।