সময় সমাচার ডেস্ক :

সব জুলুম নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে জামায়াতে ইসলামী দেশে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েমের মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন করতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম।

তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আমরা জনগণের পাওনা ফিরিয়ে দেব। এ লক্ষ্য অর্জনে জামায়াত নেতাকর্মীদের জন সম্পৃক্ততার কোনো বিকল্প নেই।

সোমবার (৭ জুলাই) রাতে ঢাকার মগবাজারে আলফালাহ মিলনায়তনে আগামী ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের উদ্যোগে জেলা/মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য এবং উপজেলা/থানা আমির ও সেক্রেটারিদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত। সেখানে এ কথা বলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চলের পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে আগামী ১৯ জুলাই ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য ‘জাতীয় সমাবেশ’ বাস্তবায়ন করতে হবে। সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবিতে ‘জাতীয় সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রচার কার্যক্রম, গণসংযোগ ও জেলা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জনশক্তি ও সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করে সামনের দিনগুলোতে সদা তৎপর থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পর মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তিলাভ এবং নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ডিঙিয়ে ১২ বছর পর দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাসহ দলের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন।

তিনি বলেন, বিগত ১৮ বছরে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যা, জামায়াত ও ছাত্রশিবির শতশত নেতাকর্মীদের গুম, খুনসহ নানা নির্যাতন চালিয়ে জামায়াতের আদর্শিক আন্দোলনকে থামানো যায়নি। ভবিষ্যতেও থামানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আল্লাহর রহমতে জাতীয় সমাবেশে অবিস্মরণীয় উপস্থিতির মাধ্যমে প্রমাণিত হবে, জামায়াত জনগণের দল। জামায়াত আগামী দিনে দেশ ও সমাজ পরিচালনা করবে, ইনশাআল্লাহ।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমাদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমির মাওলানা আবদুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির মমিনুল হক সরকার, ঢাকা জেলা আমির মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মুন্সীগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা রুহুল কুদ্দুস, নরসিংদী জেলা আমির মাওলানা মোসলেহ উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট মহানগর ও জেলা সমূহের কর্মপরিষদ সদস্যসহ থানা আমির/সেক্রেটারিবৃন্দ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version