আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন পরিশোধ ও বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) একই মালিকানাধীন চারটি কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরাতে গেলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, গত ২২ অক্টোবর হঠাৎ করে গোল্ডটেক্স লিমিটেড, গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস, সাউথ চায়না ব্লিচিং অ্যান্ড ডায়িং ফ্যাক্টরি লিমিটেড এবং এক্টর স্পোর্টিং লিমিটেড সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ ঘোষণার আগে তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়নি। একাধিকবার আশ্বাস দেওয়া হলেও বেতন পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা সোমবার সকাল ৮টার দিকে ডিইপিজেডের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের সরাতে টিয়ারশেল ও জলকামান ব্যবহার করে।
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরাতে গেলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে জলকামান দিয়ে পানি ছিটিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করলে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।”
ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন,
“সাউথ চায়না ব্লিচিং অ্যান্ড ডায়িং ফ্যাক্টরি লিমিটেড, গোল্ডটেক্স লিমিটেড, গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস ও এক্টর স্পোর্টিং লিমিটেড — এই চারটি কারখানার মধ্যে তিনটির শ্রমিকদের আড়াই মাসের এবং অপর একটির দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কর্তৃপক্ষ কারখানাগুলো পুনরায় চালুর চেষ্টা করছে। যদি তারা ব্যর্থ হয়, তবে নির্দিষ্ট সময় পর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কারখানা বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে।”

