আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের হাতে থাকা জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে এ প্রস্তাবে ১০ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির কথাও বলা হয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতার যৌথভাবে এ প্রস্তাব ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের কাছে পাঠিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। তবে এতে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির গ্যারান্টি অন্তর্ভুক্ত নেই। হামাস যোদ্ধারা এখন প্রস্তাবের শর্তগুলো পর্যালোচনা করছেন বলে গোষ্ঠীটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন।
হামাসের ওই কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দি, যুদ্ধ বন্ধ, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যহ্যার এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিনিময়ে সকল জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস। তবে ওই কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন যে, যুদ্ধবিরতির অগ্রগতিতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল।
তিনি বলেছেন, বিষয়টি বন্দিদের সংখ্যার সঙ্গে জড়িত নয়, বরং দখলদারদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার সঙ্গে জড়িত। তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েল আগেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রতারণা করেছে, তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। আবারও তারা প্রতারণা করবেনা এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ জন্য দখলদার ইসরায়েলের কাছে যুদ্ধবিরতির চুক্তি বহাল রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছে হামাস।
ওই কর্মকর্তার মতে, প্রস্তাবে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য একটি প্রাথমিক কাঠামোর রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায়। তবে তারা ইসরায়েলের সাময়িক যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব মেনে নিতে পারে। কারণ, এই সময়ের মধ্যে উভয় পক্ষ স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা করতে পারবে।
সোমবার ইসরায়েলি সংবাদ ওয়েবসাইট ইয়নেট জানিয়েছে, হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চুক্তির অধীনে, ইসরায়েল দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় অংশ নেবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চয়তার বিনিময়ে সংগঠনটি ১০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে।