এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট হোলসেলিং কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এক হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ সুবিধা পেয়েছেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আয়োজিত এক অংশীজন সভায় এই তথ্য জানানো হয়।

সভায় জানানো হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসএমই ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, অর্থায়ন, প্রযুক্তি সহায়তা এবং বাজার সম্প্রসারণে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গত ১৮ বছরে ফাউন্ডেশনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধাভোগী হয়েছেন ২২ লাখের বেশি উদ্যোক্তা। একইসাথে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাতের টেকসই উন্নয়নে আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং কর্মপরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সালাম সরদার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরীও সভায় বক্তব্য দেন।

সভায় আরও জানানো হয়, এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের সুবিধার্থে এ পর্যন্ত ১১টি জাতীয় এবং ৯১টি বিভাগীয় ও আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলার আয়োজন করেছে। এছাড়াও, সারাদেশে চিহ্নিত ১৭৭টি এসএমই ক্লাস্টারের উন্নয়নে কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং একটি ক্লাস্টারে কমন ফ্যাসিলিটি সেন্টার (সিএফসি) স্থাপন করা হয়েছে। ফাউন্ডেশন ৫৭ জন সফল এসএমই উদ্যোক্তাকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মূল্যবান পরামর্শের ভিত্তিতে খুব শিগগিরই এসএমই নীতিমালা ২০২৫ চূড়ান্ত করা হবে। বাংলাদেশের এসএমই খাত ও উদ্যোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করাই এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version