সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানসহ ছয়জনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক ছয়টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আয়কর নথি জব্দ হওয়া অন্যরা হলেন- নাঈমুল ইসলাম খানের স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক ও তার ছেলে রাহাত মালেক, কোয়ালিটি মিল্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম এবং সাবেক কানুগগো আবুল হোসেন।

নাঈমুল ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, তিন মেয়েসহ নাঈমুল ইসলাম খান তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টির বিরুদ্ধে ভিন্ন কোনো উৎস অর্থাৎ ঘুষ বা অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জনপূর্বক উক্ত অর্থের উৎস আড়াল করার জন্য তাদের নামে ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা, ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন ও বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা স্থিতি থাকাসহ অবৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে এসে মানিলন্ডারিং করেছে। তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধান চলছে। নাঈমুল ইসলাম খান ও নাসিমা খান মন্টি আয়করদাতা। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান স্বার্থে নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টির আয়কর নথি জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।

জাহিদ মালেকের আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, আসামি জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দায়ের করা হয়েছে। আসামি জাহিদ মালেক একজন আয়করদাতা। আসামি জাহিদ মালেকের জ্ঞাত-আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার পূর্ণাঙ্গ আয়কর নথি জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।

রাহাত মালেকের আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, আসামি রাহাত মালেক বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দায়ের করা হয়েছে। আসামি রাহাত মালেক একজন আয়করদাতা। আসামি রাহাত মালেক জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার পূর্ণাঙ্গ আয়কর নথি জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version