গেল সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের (৩১ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যে তিন দিনই বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এসময় লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪৩টির, কমেছে ১২৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২২টির। সার্বিকভাবে সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি মুনাফা এসেছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের শেয়ারে। আর বেশি লোকসান হয়েছে সিমেন্ট খাতের শেয়ারে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা ছিল সবগুলোর খাতের মধ্যে শীর্ষে। এ খাতে তালিকাভুক্ত ১১টি কোম্পানির সবগুলোর দর বেড়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে জীবন বীমা খাতে, যার হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এ খাতে তালিকভুক্ত ১৫টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ১৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ১টির।

এ ছাড়া ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন নিয়েছে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সিরামিক খাত। এ খাতে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানির মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ১টির। এর বাইরে পাট খাত, প্রকৌশল খাত, মুদ্রণ ও কাগজ খাত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত এবং চামড়া খাতসহ বেশ কয়েকটি খাতে গত সপ্তাহে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে।

অন্যদিকে, গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে সিমেন্ট খাতে, যার হার ২ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ খাতের বহুজাতিক দুই কোম্পানির দরপতন খাতটিকে সর্বোচ্চ নেতিবাচক রিটার্নের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে কর্পোরেট বন্ড খাতে, এ হার দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ ছাড়া ভ্রমণ ও অবকাশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, মিউচুয়াল ফান্ড, বস্ত্র এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে গত সপ্তাহে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৪৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এই লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারগুলোর। প্রতিদিন গড়ে এ খাত থেকে ১৭৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন এসেছে ব্যাংক খাতে, প্রতিদিন গড়ে যার পরিমাণ ছিল ১৪৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ অবদান ছিল বস্ত্র খাতে, প্রতিদিন গড়ে যার পরিমাণ ছিল ১৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

এ ছাড়া প্রকৌশল খাত এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে যথাক্রমে প্রতিদিন গড়ে ১২৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং ৯৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ডিএসইতে অবদান রেখেছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version