ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কাছে ভাইফোঁটা শুধু এক উৎসব নয়—এ যেন অনুভব, আবেগ আর পারিবারিক বন্ধনের প্রতীক। ছোটবেলা থেকেই ভাইফোঁটার সকালে মায়ের হাতে তৈরি আয়োজন, হাসি-আড্ডায় ভরা ঘর—সবই ছিল তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু এ বছর সেই উৎসবের রঙ যেন ফিকে। মায়ের অনুপস্থিতিতে প্রিয় এই দিনটি তাঁর কাছে শুধু স্মৃতির ভারে নীরব।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘শুধু রক্তের সম্পর্কের মানুষই ভাই হয় না। অনেকেই আছেন, যারা ভ্রাতৃসম। তাঁদের সঙ্গেই এই দিনটা উদ্‌যাপন করতে আমার ভালো লাগে। কিন্তু এ বছর মা নেই, তাই মনে হচ্ছে সব আলো যেন নিভে গেছে।’

শৈশব থেকেই ভাইফোঁটার ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত ঋতুপর্ণা। তাঁর মা-ই পরিবারের মধ্যে এই প্রথা শুরু করেছিলেন। স্মৃতিমেদুর হয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘ছোটবেলায় এই দিনে আমাদের বাড়ি যেন উৎসবের আসর বসত। সব ভাইবোনেরা আসত। আমার ঠাকুমাকে কেউ দিদা, কেউ ফুলমণি বা মুন্না বলে ডাকত—কী আনন্দময় ছিল সে সময়!’

তবুও অভিনেত্রী চেষ্টা করেন প্রতি বছর ভাইফোঁটার দিনে ভাইদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে। কিন্তু এবার সেই সুযোগও নেই। কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে তাঁর কথায়, ‘মা চলে গিয়েছেন আগের বছর। তাই এ বছর ভাইফোঁটা হবে না। তবু ভাইদের জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা সবসময় থাকবে। ভাবলেই মনটা ভারী হয়ে যায়। বছরের এই একদিন ভাইদের সঙ্গে কাটানোর যে আনন্দ—এবার তা আর সম্ভব নয়। তবে মন আমার ওদের কাছেই থাকবে, এর অন্যথা কিছু হতে পারে না।’

চিরচেনা উৎসবের দিনে তাই আনন্দের বদলে ঋতুপর্ণার জীবনে এখন শুধু নীরব স্মৃতি আর মায়ের শূন্যতার গভীরতা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version