শীতের আগমনে বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ার কারনে দাম কিছুটা সস্থিশীল রয়েছে। এতে করে ভোক্তাদের সস্তি আসলেও তা চলে যাচ্ছে মাছ মুরগির বাজারে। মাছের দাম আগে থেকেই চড়া এরপর নতুন করে বেড়েছেই চলছে মুরগির দাম। মুরগির দাম কিছু দিন ধরে উঠা নামা করছে বলে জানিয়েছেন মুরগির বিক্রেতা।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর  মতিঝিল, হাতিরপুল, কারওয়ান বাজারসহ অন্য বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ২০-৩০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কহি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, ক্ষিরাই ৫০ টাকা, টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

এছাড়া, প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৫০ টাকা, নতুন আলু ৬০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।  

দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে এটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৫০-৬০ টাকায়। এছাড়া, বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

মাছের বাজার ভোক্তার নাগালের বাইরে। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায় মিনিকেট চালের প্রতি কেজি ৭২-৭৫ টাকা, নতুন আটাইশ ৫৫-৫৭ টাকা, পুরাতন আটাইশ ৬০-৬২ টাকা ও নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ডজন প্রতি সাদা ফার্মের ডিম ১৩৫ টাকা, লাল ফার্মের ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হাঁসের ডিম ডজন প্রতি ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ডজন প্রতি ২৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মুরগীর বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিকেজি ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, ২০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা থেকে ৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

আর দাম বাড়ানোর পরও কমেনি তেলের বাজারের অস্থিরতা। সরকার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৫৭ নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকার ওপরে।

মসলার বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। এছাড়া বাজারে দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, জিরা ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা ও তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version