প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপিত হয় বিশ্ব ডিম দিবস। এবারের দিবসটি পালিত হচ্ছে আজ, ১০ অক্টোবর। ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশনের (IEC) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিনটি ঘিরে বিশ্বজুড়ে চলছে পুষ্টি সচেতনতা ও ডিমভিত্তিক বার্তা প্রচারের আয়োজন।
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এবারের দিবস উদযাপন করছে ‘শক্তি ও পুষ্টিতে ভরপুর ডিম’ স্লোগানকে সামনে রেখে। বাংলাদেশে এটি বিপিআইসিসি ও ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখার যৌথ উদ্যোগে পালিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) অনুযায়ী, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে একজন মানুষের বছরে ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া প্রয়োজন। প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে গড়ে প্রতিজন মানুষের জন্য ১৩৭টি ডিমের সহজলভ্যতা রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজন হচ্ছে। কানাডায় খামারিদের অবদানকে সম্মান জানানো হচ্ছে, ফ্রান্সে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা চলছে, আর ভারতের নাগপুর ভেটেরিনারি কলেজের পোলট্রি সায়েন্স বিভাগ পাঁচ হাজার ডিম দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর লক্ষ্য রেখেছে, ২০৩১ সাল নাগাদ ডিমের মাথাপিছু ভোগ ১৬৫টি, আর ২০৪১ সাল নাগাদ ২০৮টি পর্যন্ত উন্নীত করা।
১৯৯৬ সালের ভিয়েনা কনফারেন্স থেকে শুরু হওয়া এই দিবসটি আজ বিশ্বব্যাপী ডিমের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা ছড়িয়ে দিচ্ছে।