বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে ফের জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনে তাবু টানিয়ে ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান নেন তারা। এ কর্মসূচি দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে।
নেতাকর্মীরা জানান, দুর্গাপূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি থাকবে না। তবে দাবি আদায় না হলে দুর্গাপূজার পরে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে। এরই মধ্যে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হয়েছে এবং বাঁধাই করা স্বাক্ষর বই উপজেলার পাশাপাশি পৌরসভাগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম. এ সালাম বলেন, “দুর্গাপূজা পর্যন্ত নির্বাচন অফিস ঘেরাও অব্যাহত থাকবে। দাবি না মানা হলে পরে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়, যেখানে শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রাখা হয়। এতে বাগেরহাটের জনগণের দাবি উপেক্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
বর্তমান সীমানা অনুযায়ী বাগেরহাট-১ এ বাগেরহাট সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট, বাগেরহাট-২ এ ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা এবং বাগেরহাট-৩ এ কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা অন্তর্ভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে জেলায় চারটি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল।