সময় সমাচার ডেস্ক :
বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চপদস্থ সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই আইনের খসড়াটি ইতোমধ্যেই আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক পর্যালোচনা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এটি অধ্যাদেশ আকারে জারি হতে পারে। আইনটি কার্যকর হলে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে এবং এর জবাবদিহি কেবল সংসদের কাছেই থাকবে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রমে দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের বিতর্কিত অধ্যায়টি বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
নতুন আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক সংবিধান স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাতারে স্থান পাবে, অর্থাৎ এটি রাষ্ট্রের কাঠামোর একটি সাংবিধানিক স্তম্ভ হিসেবে গণ্য হবে। গভর্নর এবং ডেপুটি গভর্নরদের ছয় বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে, যা সংসদের অনুমোদন এবং প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। অপসারণের ক্ষেত্রেও কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং আনুষ্ঠানিক শুনানির বিধান থাকবে।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নররা দায়িত্ব গ্রহণের আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সামনে শপথ গ্রহণ করবেন, যা তাদের সাংবিধানিক মর্যাদার একটি বড় প্রতীকী বহিঃপ্রকাশ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশ ব্যাংককে ‘নির্বাহী বিভাগের একটি সংযুক্ত দফতর’ থেকে সরিয়ে এনে একটি সত্যিকারের আর্থিক সংবিধান রক্ষাকারী সংস্থায় পরিণত করবে।