বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ এনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এবার বরখাস্ত হয়েছেন এনবিআরের সেন্ট্রল ইন্টেলিজেন্স সেলের উপপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান। এ নিয়ে বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে বরখাস্তের মুখোমুখি হয়েছেন মোট ২২ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এর আগে একই অভিযোগে ১৫ জুলাই সকালে ও বিকেলে দুই দফায় মোট ১৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এদের মধ্যে দুপুরে আটজন, রাতে আরও ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যাদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার রয়েছেন।
ওইদিন আয়কর ও কাস্টমস বিভাগের আরও ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের জন্য বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এনবিআরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নিজ নিজ দপ্তর থেকে প্রজ্ঞাপন ইস্যু করা হয়েছে।
অন্যদিকে আজ পৃথক আদেশে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের গাড়িচালক মো. আবদুর রহিম হাওলাদারকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। সবমিলিয়ে আন্দোলন সম্পর্কিত ঘটনায় মোট ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত ও বাধ্যতামূলক অবসরের মুখোমুখি হয়েছে। বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা এনবিআর সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।
এর আগে ১৬ জুলাই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে কর অঞ্চল-১০ এর নিরাপত্তা প্রহরী মো. সেলিম মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আর গত ২ জুলাই এনবিআরের কর বিভাগ ও কাস্টমস বিভাগের তিন সদস্য ও এক কর কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে এবং ১ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্তের ঘটনা ঘটে।