রাষ্ট্রীয় বাজেট কাটছাঁটকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সে শুরু হয়েছে তীব্র বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার রাজধানী প্যারিসসহ বড় ছোট শহরে লাখো মানুষ নেমে আসেন রাজপথে।

ট্রেড ইউনিয়নগুলোর হিসাব অনুযায়ী অন্তত ১০ লাখ মানুষ এতে যোগ দেন। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, অংশ নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৫ লাখ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে মোতায়েন করা হয়েছে ৮০ হাজার পুলিশ।

প্যারিস, লিওন ও নানতেসে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। টিয়ারগ্যাস, লাঠি ও শিল্ড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। শুধু প্যারিস থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০০-র বেশি মানুষকে।

বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়েছে পরিবহন। প্যারিসমুখী মেট্রোরেল বন্ধ, বহু সড়ক অবরুদ্ধ। বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকি ফার্মেসির ৯৮ শতাংশও শাটার নামিয়েছে।

ঋণ সংকটে জর্জরিত ফ্রান্সে সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো বাজেট থেকে কল্যাণমূলক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার কাটছাঁট করেন। এর বিরোধিতা করে আস্থাভোটে তিনি হেরে যান এবং ক্ষমতায় আসেন সেবাস্টিয়ান লেকর্নু। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী এখনো মন্ত্রিসভা গঠন না করলেও বাজেট কাটছাঁট বহাল রেখেছেন।

একজন আইটি কর্মী সিরিয়েল বলেন, “ম্যাক্রোঁর নীতি বা বায়রোর বাজেট—কোনোটিই আমাদের পক্ষে নয়। আমি চাই জনসেবায় বরাদ্দ বাড়ানো হোক এবং ধনীদের ওপর আরও কর আরোপ করা হোক।”

ট্রেড ইউনিয়নের নেত্রী সোফি বিনেটও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। অন্যদিকে বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেশিলিও সাফ জানিয়ে দেন, “বাজেট নীতিতে পরিবর্তন আসবে না। সড়কে বেশি সময় থাকলে গ্রেপ্তারও বাড়বে।”

ফরাসি বামপন্থি জোট এলএফআই সরকারকে সতর্ক করে বলেছে, কঠোর পদক্ষেপ নিলে তার প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হবে।

সূত্র: বিবিসি

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version