ফিলিপাইনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ভয়াবহ দুর্নীতির কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ম্যানিলাসহ বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামবেন বলে জানা গেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ ফিলিপাইন প্রায়ই ঘূর্ণিঝড় ও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে। তবে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য নেওয়া বহু কোটি টাকার প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে বলে প্রকাশিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। অভিযোগ উঠেছে, অনেক জায়গায় বাঁধ নির্মাণের নামে অর্থ তোলা হলেও বাস্তবে সেসব বাঁধের কোনো অস্তিত্ব নেই।
সংবাদমাধ্যম গামানেটওয়ার্ক জানিয়েছে, রোববার রাজধানী ম্যানিলায় দুটি বড় কর্মসূচি হতে যাচ্ছে। সকাল ৯টায় রিজাল পার্ক থেকে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, নাগরিক সংগঠন ও অ্যাক্টিভিস্টদের উদ্যোগে ‘বন্যা মোকাবিলায় পদক্ষেপ : দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন’। এরপর দুপুর ২টায় ইডিএসএ পিপল পাওয়ার মনুমেন্টে হবে আরেকটি সমাবেশ, যেখানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেবেন খ্রিস্টান ও মুসলিম ধর্মীয় নেতারা।
অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে-সমর্থিত দল ‘হাকবাং এনজি মাইসুগ’ দুপুর ১টায় লিওয়াসাং বোনিফাসিওতে ‘সেভ দ্য ফিলিপাইনস’ নামে সমাবেশ করবে। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা ক্যাম্প আগুইনাল্ডোর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
রাজধানীর বাইরেও আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে। দাভাও, সেবু ও ইলোইলো সিটির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় বিক্ষোভ ও মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে ফিলিপাইন সরকার। যদিও সরকারের দাবি, এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো হুমকির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটির সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত রিজাল পার্ক ও ইডিএসএ শ্রাইনের ১৫ নটিক্যাল মাইল আকাশসীমায় সব ধরনের ড্রোন ও উড়োজাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।