পাটগ্রাম প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ড্রামের তৈরি সেতুতে দুঃখ ঘুচলো ২০ হাজার পরিবারের।

স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর বাঁশের চাটাই জোড়া লাগিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
উপজেলার সানিয়াজান নদীর ওপর নির্মিত ২০০ ফুট দীর্ঘ ভাসমান এ সেতু এলাকার মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।

সেতুটি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিড় করে মানুষজন। এমন ভাসমান ড্রাম সেতু সবার নজর কেড়েছে। ভাসমান এ সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা।

পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সানিয়াজান নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ৩ মার্চ উদ্বোধন করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. শামসুল আলম। উদ্বোধনের পর থেকে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত শুরু হয়েছে। এতে তিন গ্রামের মানুষ খুশি।

সেতুটি নির্মাণ করেছেন ওই গ্রামের ১৫ জন সাধারণ মানুষ। সেতু নির্মাণের ব্যবহার হয়েছে প্লাস্টিকের ড্রাম, বাঁশ, লোহার অ্যাঙ্গেল ও দড়ি।

স্থানীয়রা জানান, গেল বন্যার পর থেকে এ নদীতে কোনো ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি শুরু হয়। পরে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তৈরি হয় ভাসমান ড্রাম ব্রিজ।

রিফাত হোসেন বলেন, বন্যায় প্রতি বছর এখানকার মানুষ কষ্ট পোহাতে হয়। তাই সবার সহযোগিতায় বিএনপি-ছাত্রদল নেতারা মিলে এবার ড্রাম দিয়ে ভাসমান সেতু নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয় আজিজুল ইসলাম বলেন, বন্যার সময় নদীর পানি যতই বাড়বে ড্রামগুলো ভেসে উঠবে। এতে চলাচলের কোনো কষ্ট হবে না। তাই আমরা ড্রাম কিনে সেতুটি করেছি।

হামির উদ্দিন গ্রামার স্কুলের শিক্ষার্থী আয়ান বলেন, সেতু নির্মাণের ফলে আমরা খুব সহজে স্কুল-কলেজে যেতে পারি। আগে এ পথ দিয়ে অনেক কষ্টে স্কুলে যেতাম এখন আর ভিজে যেতে হয় না। খুব কম সময়ে আমরা স্কুলে যেতে পারি।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান সময় সমাচারকে জানান , নতুন যোগদান করেছি তাই এ ভাসমান সেতুর বিষয়ে জানি না। তবে খোঁজ খবর নিব।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version