পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ভঙ্গুর দেশের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা অপরিহার্য। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তাদের সহায়তার নীতি পরিবর্তন করলে তা দেশের কোটি মানুষের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে। তবে আন্তর্জাতিক সহায়তা না এলেও আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কারণ এটি আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় ‘বায়োফিলিয়া: মানুষ, জলবায়ু ও সংস্কৃতির পুনঃসংযোগ’ শীর্ষক দিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, শুধু আর্থিক নয়, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত সহায়তাও সমান জরুরি। তবে বহির্বিশ্ব থেকে সহায়তা না এলে দেশের কৃষক, জেলে ও গ্রামীণ সমাজের প্রাকৃতিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে হবে। আমাদের স্থানীয় সংস্কৃতি ও বোঝাপড়াকে কেন্দ্র করেই জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অতীতে উপকূলীয় অঞ্চলে পানির সংকটে মানুষ হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি। কমিউনিটি নিজেরাই এগিয়ে এসে সস্তায় লবণাক্ততা দূর করে পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু ভবদহ বা বিল ডাকাতিয়ার মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধানে অব্যাহত আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দুর্যোগে কখনো কারো হাত ছেড়ে যায়নি। দুর্যোগের সময় আমরা অভাবনীয় ঐক্য দেখেছি। এই ঐক্যই আমাদের শক্তি। উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা সেই ঐক্যকে আরও দৃঢ় করে তুলছে।

উদ্বোধনী পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স করিন হেনচোজ পিগনানি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারসহ অন্যরা।

আয়োজকরা জানান, ঢাকায় মানুষের জীবন, জলবায়ু ও সংস্কৃতির পারস্পরিক সংযোগকে সামনে রেখে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে জলবায়ু যোগাযোগ সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেনল্যাব। যা সুইজারল্যান্ড সরকারের সহায়তায় বাস্তবায়িত ক্লাইমেট অ্যাকশন অ্যাট লোকাল লেভেল প্রকল্পের একটি প্রোগ্রাম।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version