বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) পরিচালনায় শুরু করা হয়েছে শিববাড়ি-ঢাকা-গাজীপুর বিআরটি লেনে বিআরটিসির এসি বাস চলাচল।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) শিববাড়ি মোড়ে বিআরটি স্টেশনে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
এ সময় যাত্রীরা বলেন, এসব সার্ভিস চালুর মাধ্যমে অফিসগামী মানুষসহ গাজীপুরবাসি উপকৃত হবে।
বিআরটি সূত্রে জানা যায়, বিআরটি প্রকল্পটির আওতায় এয়ারপোর্ট থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত বিদ্যমান ২০.৫ কিলোমিটার সড়কে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০টি বাস এই রুটে চলাচল করবে।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, গাজীপুরবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসি বাস ও কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এছাড়া বিআরটি প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত বাস সংগ্রহ করা হচ্ছে। জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে আশা করে তিনি বিআরটি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দেন।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রকল্পটির আওতায় এয়ারপোর্ট থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত বিদ্যমান সড়ককে আট লেনে উন্নীত করা হয়েছে। করিডোর সংলগ্ন উভয়পাশে ৩৪ কি.মি. ফিডার রোড উন্নয়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় পুরো করিডোরে রাস্তার দুই পাশ মিলে ৫৫ কি.মি. ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া রাস্তার দুই পাশ ৪১ কি. মি. ফুটপাথের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ১০ লেন বিশিষ্ট টঙ্গী ব্রীজ সহ মোট ৯টি ফ্লাইওভার রয়েছে। যার মধ্যে গত ২৪ মার্চ হতে ৮টি ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। বিআরটি ব্যবস্থা চালু হলে গাজীপুর-এয়ারপোর্ট করিডোর যানজট মুক্ত এবং নিরাপদ হবে। ফলে সমগ্র উত্তরবঙ্গসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের জেলাসমূহের যাত্রী সাধারণ ঈদসহ অন্যান্য সময়ে, নির্বিঘ্নে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে।পূর্ণাঙ্গ বিআরটি চালু হলে যাত্রীসাধারণ বিশ্বমানের সেবা উপভোগ করবে এবং জনগণের জন্য কাঙ্ক্ষিত সুবিধা জয়ে আনবে।
এর আগে পূর্ণরূপে বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ করিডোরের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সে শিববাড়ি-এয়ারপোর্ট-গুলিস্তান রুটে বিআরটিসি এসি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের সওজ অংশে ৯৭.৬৯ ভাগ, বিবিএ অংশে ৯৬.৫৭ ভাগ এবং এলজিইডি অংশে ১০০ ভাগ কাজসহ বর্তমানে মূল প্রকল্পের প্রায় ৯৭.৪৩ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।