বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে হাসপাতালে ভর্তির পর এবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আশাব্যঞ্জক উন্নতি হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনকে উদ্ধৃত করে যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খছরুজ্জামান খছরু গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকের সামনে গণমাধ্যমের সাথে চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। এ হাসপাতালেই অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। অধ্যাপক প্যাট্রিক একজন লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ।
এজেডএম জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়াকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। নেফ্রোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট ও ইনটেনসিভিস্ট চিকিৎসকরা ওনাকে দেখেছেন। তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা রহমান, মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামায়লা রহমান, খালেদা জিয়ার তিন নাতনি হাসপাতালে সবসময় ওনার দেখভাল করছেন। পারিবারিক আবহে থাকায় মানসিকভাবে ভালো থাকার একটা আবহ সৃষ্টি হয়েছে। মানসিকভাবে উনি দেশের থাকার সময়ের চেয়ে এখন অনেকটা ভালো আছেন, উৎফুল্ল আছেন– এটুকু বলতে পারি।
তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার থেকে ওনার চিকিৎসায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল আছে। এভাবে আরও কয়েকদিন চিকিৎসা চলার পর ওনার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আরও সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাবে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া। রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে কাতার আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। বুধবার (৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পরে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করানো হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। এখন সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।