আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা জুড়ে বুধবার (১৮ জুন) ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৯ জন ছিলেন ত্রাণ ট্রাকের জন্য অপেক্ষায়—যারা ক্ষুধার্ত পরিবারের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করতে মরিয়া ছিলেন।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ভোরে এই ভয়াবহ হামলার সর্বশেষ ঘটনা ঘটে গাজার কেন্দ্রস্থলে সালাহ আল-দিন সড়কে নেৎজারিম করিডোরের কাছে। ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা জানান,  এই হামলায় আরও ১০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

গাজা শহরের দক্ষিণে জায়তুন এলাকায় একটি বাড়িতে চালানো বিমান হামলায় ৮ জন নিহত হন এবং আরও কয়েকজন আহত হন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

গাজার দক্ষিণে আল-মাওয়াসি আশ্রয় শিবিরে বাস্তুচ্যুতদের তাবুতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮ জন নিহত হয়েছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও দুইজন শিশু ছিল বলে জানায় ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা।

কেন্দ্রীয় গাজার মাঘাজি শিবিরেও একটি হামলা হয়েছে, যেখানে ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানায় ওয়াফা। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী এবং তাদের শিশুরাও ছিলেন।

হামাস এই হামলাগুলোকে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে। গাজা ভূখণ্ডজুড়ে আবাসিক এলাকাগুলোতে ইসরায়েলি হামলা এবং বিতর্কিত মার্কিন ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রে মানুষের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।

এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, “নিরীহ নাগরিকদের ওপর পরিকল্পিত নির্যাতন, গণহত্যার মাত্রা বৃদ্ধি, ক্ষুধার্তদের ওপর হামলা, জোরপূর্বক উচ্ছেদ, এবং তথাকথিত ‘নিরাপদ’ এলাকার পরিসর সংকুচিত করা—এসবই যুদ্ধাপরাধের শামিল।” তারা আরও যোগ করে, “ইসরায়েলের এই হামলা প্রায় ২০ মাস ধরে চলমান নির্মূল যুদ্ধেরই অংশ।”

সূত্র: আল-জাজিরা

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version