টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জয়লাভ করল বরিশাল। ফাইনালে টান টান উত্তেজনা ম্যাচে প্রতিপক্ষ চিটাগাংকে তিন উইকেটে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলল ফরচুন বরিশাল।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় ফরচুন বরিশাল ও চিটাগাং কিংস মুখোমুখি হয়।
টসে জিতে বরিশাল চিটাগাংকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায়। শুরুতেই তাদের ব্যাটাররা বরিশালের বোলারদের রীতিমতো ছড়ি ঘুরান। নাফি ও পারভেজ ইমন দারুণ ব্যাটিং নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিল ।দুজনই অর্ধশত মাইল ফলক স্পর্শ করেন। উদ্বোধনী জুটিতে ১২১ রানের জুটি গড়েন। নাফি ব্যক্তিগত ৬৬ রান করেন। এরপর ক্লাক ও ইমন ৭০ রানের জুটি গড়েন। ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করেন চিটাগাং কিংস। ১৯৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ব্যাট হাতে চিটাগাং বোলারদের ওপর চড়াও হন শুরু থেকে। ২৯ বলে ৫৪ রান করেন তামিম। দলকে ভাল অবস্থানে রেখে সাজঘরে ফেরেন খান সাহেব।
কিছুটা চাপে থাকলেও কায়েল মায়ার্স ও মুশফিক ৩৪ রানের জুটি দেন। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে মায়ার্স ৪২ রানের জুটি গড়েন। শেষদিকে খেলা তখন দোদুলোমান । রিশাদ হোসেন ৬ বলে ১৮ রানের ছোট কেমিও ইনিংস খেলেন একই সাথে দলকে জয়ের স্বাদ এনে দেন। বরিশালে হয়ে ব্যাট হাতে তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন এবং কাইল মায়ার্স ৪৬ রান করেন। অপরদিকে চিটাগাং এর হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন খাজা ৬৬ এবং পারভেজ ইমন ৭৮ রান করেন। বল হাতে চিটাগাংয়ের শরিফুল ৪ টি ও নাইম ইসলাম ২ টি করে উইকেট নেন। খেলা শেষে ম্যাচ সেরা পুরস্কার নির্বাচিত হন তামিম। ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট পুরস্কার নির্বাচিত হন মেহেদী হাসান মিরাজ। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রান করেন মোহাম্মদ নাইম।
সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ইমার্জিং প্লেয়ার অব দ্যা টুর্নামেন্ট হন তানজিদ হোসেন তামিম। সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার নির্বাচিত হন উইকেট রক্ষক মুশফিকুর রহিম।