সময় সমাচার ডেস্ক
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনরত প্রার্থীদের প্রতি সাড়া না দিয়ে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষার আয়োজনের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
গত মঙ্গলবার পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের দাবিতে কয়েকজন প্রার্থী আন্দোলনে নামেন এবং দাবি না মানা হলে পিএসসির পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলনের হুমকি দেন।
তবে আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পিএসসি জানিয়েছে, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮ মে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পিএসসি আন্দোলনকারী প্রার্থীদের দাবিকে গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করেছে। তবে ৪৪তম, ৪৫তম, ৪৬তম ও ৪৭তম বিসিএসসহ নন-ক্যাডার নিয়োগ সংক্রান্ত জট নিরসনে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে প্রার্থীদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
পিএসসি জানায়, বিসিএসসহ অন্যান্য বড় পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র মুদ্রণ এবং পর্যাপ্ত পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যেহেতু কমিশনের নিজস্ব অবকাঠামো নেই, তাই এসব কাজের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিতে হয়।
পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব একাডেমিক কার্যক্রম, এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষা, ছুটি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়েই তারা পিএসসিকে পরীক্ষার জন্য স্থান বরাদ্দ দেয়। যেহেতু একাধিক কেন্দ্র প্রয়োজন হয়, বিষয়টি অনেক জটিলতা তৈরি করে।
এ কারণেই ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার নির্ধারিত সময়সূচি পরিবর্তন বাস্তবসম্মত নয় বলে কমিশন মনে করে।
তবে কেউ যদি একই দিনে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা এবং ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের নোটিশ পান, সেক্ষেত্রে প্রার্থী পিএসসিকে অবহিত করলে তার জন্য বিকল্প তারিখে মৌখিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পরিশেষে পিএসসি সকল প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছে, যাতে সময়মতো ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব হয়