আয়কর রিটার্ন দাখিলের শর্তে গ্রামীণ ব্যাংককে ২০২৯ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব রোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা যেটা করেছি, আমাদের কাছে যেটা মনে হয়েছে যে আমরা সমজাতীয় অন্যরা যে সুবিধা পায়, সেটাই আমরা দিয়েছি। এটা নিয়ে আর আপাতত না বলি।

“আর এখানে কোন আলাদা করে কোনো ট্রিটমেন্ট দেওয়ার কোন ইচ্ছা আমাদের ছিল না বা করিও নাই।”

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের পরিবর্তন নিয়ে এনবিআর আয়োজিত এক সেমিনারে কথা বলছিলেন চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান।

সেখানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংকের সব ধরণের আয়ের ওপর কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ইন্টারেস্ট আয়ের ওপরও এ অব্যাহতি রয়েছে।”

সমজাতীয় অন্য প্রতিষ্ঠান কর ছাড় না পেলেও গ্রামীণ ব্যাংককে দেওয়ার ‘জাস্টিফিকেশন’ কী জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “যেটা আপনি বললেন আমি ঠিক ভালো ধরতে পারি নাই।

“আমরা যেটা করেছি, আমাদের কাছে যেটা মনে হয়েছে যে আমরা সমজাতীয় অন্যরা যে সুবিধা পায়, সেটাই আমরা দিয়েছি। এটা নিয়ে আর আপাতত না বলি।”

সরকার পতনের পর ক্ষমতায় আসার পর আয়কর রিটার্ন দাখিলের শর্তে গ্রামীণ ব্যাংককে ২০২৯ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেওয়া হয় গত বছরের অক্টোবরে।

একই শর্তে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত দানকৃত আয় থেকে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে।

ওই সময়ে এ বিষয়ে আলাদা গেজেট প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সেখানে বলা হয়েছে, করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলসহ যাবতীয় নিয়ম পরিপালন করে তবেই এ সুবিধা পাওয়া যাবে।

১৯৮৩ সালে সামরিক অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব সময়ই কর অব্যাহতি সুবিধা পেয়ে আসছে গ্রামীণ ব্যাংক।

এই সুযোগ প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের ৩৩ ধারার আওতায়। ২০১৩ সালে অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হলেও ওই ধারা অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version