ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনেও জীবন ফিরে পেতে শুরু করেছে গাজা নগরী। শনিবার (১১ অক্টোবর) হাজারো বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ভয় ও অনিশ্চয়তা পেছনে ফেলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত শহরে ফিরে এসেছেন। কেউ ফিরে পেয়েছেন ভাঙাচোরা ঘর, কেউবা হারিয়েছেন সবকিছু। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতির সুযোগে রাজা সালমি নামের এক ফিলিস্তিনি নারী পায়ে হেঁটে ফিরে গেছেন গাজা নগরীর নিজের বাড়িতে। কয়েক সপ্তাহের বিমান ও স্থল অভিযানে অঞ্চলটিতে তীব্র বোমাবর্ষণ হয়—যেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, হাজারো হামাস যোদ্ধা অবস্থান করছিলেন।
রাজার বলেন, “আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটেছি। প্রতিটি পদক্ষেপে ভয় ও উৎকণ্ঠা ছিল—বাড়িটা আদৌ আছে কি না।”
তিনি যখন আল-রিমাল পাড়ায় পৌঁছান, দেখেন তার ঘরটি আর নেই।
“এটা আর কোনো ঘর নয়—শুধু ধ্বংসস্তূপ। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে কেঁদেছি। আমার সব স্মৃতি এখন শুধু ধুলো,” বলেন সালমি।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, শনিবার একদিনেই প্রায় ৫০ হাজার মানুষ গাজা নগরে ফিরেছেন। সংস্থার কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মুগাইয়ির জানান, শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত মোট প্রায় আড়াই লাখ মানুষ গাজা নগরে ফিরে এসেছেন।