জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভ্যাট ফাঁকি রোধে একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জমা হওয়া ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮৯টি ভ্যাট রিটার্নের মধ্যে ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৪টি (প্রায় ৪৩ শতাংশ) শূন্য রিটার্ন ছিল, যার ফলে সরকার কোনো রাজস্ব পায়নি।
এই শূন্য রিটার্নের অপব্যবহার ঠেকাতে এনবিআর ইতোমধ্যে ১১টি ভ্যাট কমিশনারেটকে যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভ্যাট ফাঁকি রোধ করতে এবং শূন্য রিটার্ন দাখিলকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্য রয়েছে।
এনবিআরের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শূন্য রিটার্ন দাখিলকারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, মামলা বা রাজস্ব ফাঁকির তথ্য খতিয়ে দেখে তা প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। এনবিআর আশা করছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভ্যাট ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এবং ভবিষ্যতে সরকার রাজস্ব হারাবে না।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত খুলনা ভ্যাট কমিশনারেটে শূন্য রিটার্নের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। খুলনা, রংপুর, যশোর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, ঢাকা পশ্চিম ও ঢাকা পূর্বসহ দেশের বিভিন্ন ভ্যাট কমিশনারেটের মধ্যে শূন্য রিটার্নের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এনবিআর মনে করছে, এসব অনিয়মের কারণে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। কমিশনারেটগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম ধরা পড়লে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।