ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বাংলাদেশ চেম্বারের বিভিন্ন নেতা ও এনবিআরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রস্তাবনায় বলা হয়, আমরা ব্যক্তিখাতে করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করছি । মূল্যস্ফীতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বিবেচনায় আগামী ২০২৫-২০২৬ কর বৎসরের জন্য বর্তমান ব্যক্তিগত করমূক্ত সীমা ও বিদ্যমান আয়করের হার পুনঃনির্ধারনের প্রস্তাব করছি।
প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসাবান্ধব ও সহনশীল কর্পোরেট করের হার নির্ধারণ জরুরি। বাংলাদেশের কর্পোরেট কর হার আশপাশের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বিসিআই কোন শর্ত ছাড়াই ২.৫ শতাংশ হারে কমিয়ে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির জন্য ২৫ শতাংশ এবং পাবলিক ট্রেডেড কোম্পানির জন্য ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।
সংগঠনটির প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, সারাদেশের মোট আহরিত স্থানীয় ভ্যাটের সিংহ ভাগ আহরিত হয় প্রায় ৫০০টি প্রতিষ্ঠান থেকে (সিগারেট, টেলিফোন ও মোবাইল ফোন, গ্যাস, ব্যাংকিং, ঔষধ, বিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম, সিমেন্ট, সিরামিক ও টাইলস এবং বেভারেজ ইত্যাদি)। তাই এই খাতগুলিকে বিশেষ ব্যবস্থায় মনিটরিং করে হাজার হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে করভার মূল্য সংযোজনের আনুপাতিক হারে যৌক্তিক করা হলে একদিকে রাজস্বের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না, রাজস্ব আহরণ ব্যয় বিপুলভাবে কমে যাবে অন্যদিকে উদ্যোক্তা এবং ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে না বরং মূসক দায় মেনে চলার জন্য অত্যন্ত উৎসাহিত হবে এবং এসব প্রতিষ্ঠান ক্রমে ক্রমে অধিক ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হবে। ভোক্তা ও দেশের ৮৫ শতাঙশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের স্বার্থ ও সামর্থ্য অনুযায়ী ভোক্তা-বান্ধব, ব্যবসা-বান্ধব এবং রাজস্ব-বান্ধব একক ১৫ শতাংশ হারে নিম্নলিখিত ভ্যাট ব্যবস্থা বলবৎ করা জাতীয় স্বার্থে অপরিহার্য।