কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে মো. নাদের মুন্সি (২৭) নামে এক বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই যুবককে ফিরিয়ে আনে বিজিবি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লা সীমান্তের বৈদ্দেরখীল নামক স্থানে ওই যুবককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে সীমান্তের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার রাধানগর নামক স্থানে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের হাতে আটক হন ওই যুবক।
আটককৃত মো. নাদের মুন্সি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বৈদ্যেরখীল এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে।
বিকেলে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) চৌদ্দগ্রাম বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ২১০৯/১৪-এস হতে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ‘রাধানগর’ নামক স্থান দিয়ে তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বিএসএফ তাদের আটক করে। এ সময় দুইজন পালিয়ে বাংলাদেশে এলেও একজন বিএসএফ সদস্যদের হাতে আটক হন।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি টহলরত বিজিবিকে জানালে তৎক্ষণাৎ বিএসএফ কমান্ড্যান্ট ও অধিনায়ক, কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) মধ্যকার আলোচনার প্রেক্ষিতে আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিককে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে বিজিবি সদস্যদের কছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। পরে দুপুর ১২টায় বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সীমান্ত পিলার ২১০৯/১৪-এস এর কাছে আনুমানিক ০৫ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ‘বৈদ্যেরখীল’ নামক স্থানে আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় পলাতক অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিক নাদেরকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।