কেবল ১৫ লাখ করদাতার অর্থ দিয়ে দেশের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, গত অর্থবছর ৪৫ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করে, যার মধ্যে ৩০ লাখ করদাতা শূন্য রিটার্নধারী।
“বাকি ১৫ লাখ কারদাতা থেকে রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। এত কম সংখ্যক লোকের থেকে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়।”
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘যারা রিটার্ন দিচ্ছে না, তাদের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে তাদের ব্যাংক হিসেব তলব করা হবে। বাংলাদেশের ট্যাক্স টু জিডিপি রেশিও খুবই কম। তাই কর হার বাড়ানোর বিকল্প নেই।‘‘
চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে এ প্রাক বাজেট সভা আয়োজন করে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
সেখানে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটকে জনবান্ধব করতে ব্যবসায়ীসহ সবার মতামত নেওয়া হচ্ছে।
“আগামী বাজেটে ঘাটতি থাকবে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি যেন না হয়, সেই দিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। আর রাজস্ব আদায়ে যৌক্তিকভাবে বাড়ানো হবে করহারও।”
আবদুর রহমান খান বলেন, ‘‘মার্কিন শুল্ক আরোপের ফলে দেশের পোশাকখাত যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।
“এছাড়া ব্যবসায়ীদের যেন এনবিআর অফিসে ঘুরতে না হয়, সেজন্য সবকিছু অটোমেশন করা হচ্ছে। এখন সিঙ্গেল উইন্ডোর মাধ্যমে এক লাখ ৬০ হাজার সার্টিফিকেট অনলাইনে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “ভ্যাট ও বন্ড সুবিধা নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমরা বন্ড সুবিধা অটোমেশনের আওতায় আনতে কাজ করছি। এছাড়া আয়করের মত ভ্যাটও যেন ঘরে বসে দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান, উইমেন চেম্বারের সভাপতি আবিদা মোস্তফা, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি সরওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ, সাবেক সহ-সভাপতি বেলাল আহমেদ ও বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী।