জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
অপু বিশ্বাসের আইনজীবী আবুল বাশার কামরুল জানান, গত ২ জুন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান অপু বিশ্বাস। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি বৃহস্পতিবার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিননামা দাখিল করেন। রোববার আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন।
এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি জুলাই আন্দোলেনের সময় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চলতি বছরের মার্চ মাসে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২৮৩ জনকে আসামি করে মামলার আবেদন করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি করা হয় অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা, রোকেয়া প্রাচী, অপু বিশ্বাস, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, জ্যোতিকা জ্যোতি, নায়ক সাইমন সাদিক, আজিজুল হাকিম, জায়েদ খান, সৈয়দা কামরুন নাহার শাহনুর, তারভীন সুইটি, জাকিয়া মুন, তারিন জাহান, উর্মিলা শ্রাবন্তী করসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীকে।
অভিযোগ করা হয়, আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য বিপুল অর্থ যোগান দিয়েছেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের সরকারকে। গত ১৮ মে গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাত ফারিয়াকে। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০ মে জামিন পান নুসরাত ফারিয়া।
অভিযোগ করা হয়, আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য বিপুল অর্থ যোগান দিয়েছেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের সরকারকে। গত ১৮ মে গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাত ফারিয়াকে। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০ মে জামিন পান নুসরাত ফারিয়া।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, অভিনয়শিল্পীরা অর্থ জোগানের কাজ করে। তবে মামলায় অন্য অভিযুক্তরা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করেন। তাদের ছোড়া গুলিতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বাদী এনামুল হকের ডান পায়ে গুলি লাগে। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।