ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ সালমান ও মো. জুনায়েদের নিয়োগ কার্যক্রম সিন্ডিকেট কর্তৃক স্থগিত করা কেন অবৈধ হবে না, তা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের নিয়োগ অবৈধভাবে স্থগিত প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি রিট পিটিশনারদের দরখাস্ত ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) আইনজীবী আরিফুর রহমান আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সারের ২৮ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট বোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ এর আর্টিকেল ২৩(২) অমান্য করে মনোনয়ন বোর্ডের ওই সুপারিশ ও নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেন। যা সংবিধান পরিপন্থি। পরবর্তী সময়ে রিটকারীরা তাদের নিয়োগ না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলেও কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি ঢাবি প্রশাসন এবং কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এমনকি তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর তারা তাদের নিয়োগ দেওয়ার কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতাদর্শ ও তামীরুল মিল্লাতের ছাত্র হওয়ায় তাদের নিয়োগ পেতে বাধা দেওয়া হয় বলে আদালতকে অবহিত করেন রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান আরিফ।

এ আইনজীবী জানান, ঢাবির আরবি বিভাগে চারটি প্রভাষক পদের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। রিটকারীরা সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সব নিয়ম মেনে আবেদন করেন। আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মনোনীত সিলেকশন বোর্ড ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর তাদের ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্তভাবে মনোনয়নের জন্য সুপারিশ করেন। কিন্তু রিটকারীরা তামীরুল মিল্লাত মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী হওয়ায় তৎকালীন ছাত্রলীগের মিছিল ও বাধার মুখে যোগদান করতে পারেননি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version