সোমবার, জুলাই ২৮

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ইস্যুতে অবশেষে একটি সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে ঐকমত্য সংস্কার কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের এই কথা জানান।

এদিন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে চলমান দ্বিতীয় ধাপে ১৯তম দিনের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ৩০টি রানৈতিক দল অংশ নেয়।

আলী রীয়াজ বলেন, আমরা একটা বিষয়ে একমত হয়েছি, সেটা হলো প্রধানমন্ত্রী ১০ বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন। সনদে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর উল্লেখ করব। এ বিষয়ে আমরা কি একমত হয়েছি? এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ সাহেব একটি শর্ত দিয়েছিলেন, সেটা কি এখনো আছে?

পরে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আমরা একবার বলেছি ১০ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকবেন না। আমি বলেছিলাম সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের কমিটি থাকলে বিষয়টি মানব না। আমরা এ হাউসের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগসংক্রান্ত বিধান সংবিধানে যুক্ত করব।

বিএনপি নেতা বলেন, এর বাইরের বিষয়ে আলোচনা হলে আমাদের শর্ত বহাল থাকবে। আশা করি সেটা বিবেচনা করবেন। এখন ১০ বছরের বিষয়ে আপনারা ঘোষণা দিতে পারেন। বরং এটা আমাদের প্রস্তাব।

এর আগে, আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে উপস্থাপন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পরে দলগুলো আলোচনা করে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে একমত হয়। তবে এর আইনি কাঠামো নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, পুলিশ কমিশনের বিষয়ে আমরা একমত। গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা আলোচনা করব। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো আলাপ-আলোচনায় একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে একমত হয়েছে যা পুলিশের জবাবদিহিতা, দায়বদ্ধতা ও জনবান্ধবতা নিশ্চিত করবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version